মামলার বিবরন সূত্রে জানা যায় যে, , নিহত খোকন মিয়া, সাং-করমা, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ ও ধৃত আসামী মোঃ একলাছ উদ্দিন(৪৭))সহ এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীগণ একই বংশের ও সম্পর্কে আত্মীয় হয়। জায়গা-জমি সংক্রান্তে পূর্ব থেকেই নিহত খোকন মিয়াদের সাথে ঝগড়া বিবাদ সহ মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে গত ০৩ অক্টোবর ২০২৫খ্রিঃ আনুমানিক রাত ২২:০০ ঘটিকার সময় ধৃত আসামী সহ এজাহার নামীয় আসামীগন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিহত খোকন মিয়ার বসত ভিটায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে খোকন মিয়াকে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত সহ রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে বসত ঘর এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্ষতিসাধন করে যার আনুমানিক মূ্ল্যে ২,০০,০০০/- টাকা। নিহত খোকন মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গত ০৪ অক্টোবর ২০২৫ আনুমানিক ভোর ০৪:০০ ঘটিকার সময় মৃত ঘোষনা করে। উক্ত ঘটনায় নিহত খোকন মিয়ার ছেলে মোঃ বিল্লাল হোসেন (২৯) ঈশ্বরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা নং-০৩, তারিখ-০৪ অক্টোবর ২০২৫খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩০২/৪২৭/৫০৬(২) পেনাল কোড দায়ের করেন। উক্ত হত্যার ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয। বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করে সিপিএসসি র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে তৎপর হয়।
এরই প্রেক্ষিতে সিপিএসসি, র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ এর আভিযানিক দল আসামীর বর্তমান অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সিপিসি-১, র্যাব-৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সহযোগীতায় ১৮ অক্টোবর ২০২৫খ্রিঃ অনুমান ২২:১০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বিটঘর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ একলাছ উদ্দিন(৪৭), জেলা ময়মনসিংহ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ০৬ অক্টোবর ২০২৫খ্রিঃ অনুমান ১৮:৪০ ঘটিকায় আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিএমপি,ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন ঢাকা সেনানিবাস জি আর্মি (সাউথ) কর্তৃপক্ষ প্রধান আসামী মোঃ বদর উদ্দিন আল সানি বাদল(৪০) কে সিপিএসসি, র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ এবং র্যাব-৪, মিরপুর-১, ঢাকা এর যৌথ আভিযানিক দলের নিকট হস্তান্তর করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।