নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপি'র তুমব্রু ১ নং ওয়ার্ডের রোহিঙ্গা লিষ্টের তালিখা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তির ছেলের হাতে বাংলাদেশী এনআইডি স্মার্ট কার্ড এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলছে নানান গুঞ্জন। জনমনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রোহিঙ্গা পিতার ছেলের হাতে বাংলাদেশী এনআইডি এবং ভোটার হওয়ার অভিযোগে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সরেজমিন গিয়ে একাধিক স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘুমধুম ইউপির তুমব্রু ক্যাম্প পাড়ায় বসবাসরত রোহিঙ্গা রশিদ আহাম্মদ ভোটার তালিখা থেকে বাদ পড়লেই বহাল আছে তার ছেলে মোঃ ইলিয়াসের এনআইডি কার্ড। আরও জানাযায় স্বাধীনতার পরবর্তি সময়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রশিদ আহাম্মদসহ তার পরিবার এসে নিজে বাংলাদেশের এনআইডি নাপেলেও কৌসলে ছেলে ভাগিয়ে নিয়েছে এনআইডি । কিভাবে এই রোহিঙ্গা রশিদ আহাম্মদের ছেলে ইলিয়াস ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে?কারা জড়িত,তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।এই রোহিঙ্গা যুবকের ভোটার বাতিল করার দাবী জোরালো হচ্ছে।
এদিকে এই রোহিঙ্গা পিতার ছেলে ইলিয়াস বাংলাদেশী মেয়ে বিয়ে করে বেশ ডাপটের সাথে দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এবং সীমান্ত এলাকায় ইন্টারনেটের মত অবৈধ সংযোগ দিচ্ছে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে। এই রোহিঙ্গা পিতার ছেলে ইলিয়াস ওপার থেকে আত্মীয়দের যোগসাজসে সীমান্তের মিয়ানমার কেন্দ্রিক সমস্ত অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।এতে রহস্যজনক কারবারে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন বলেও অনেকেই অভিযোগ করেন।
এ রোহিঙ্গা ভোটার প্রসঙ্গে ঘুমধুম ইউপি'র ১ নং ওয়ার্ড সাবেক সদস্য (পশ্চিমকুল-জলপাইতলী) শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বিকার করে বলেন, তার পিতার নাম রোহিঙ্গা লিষ্টে থাকলেও তার ছেলে কিভাবে বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড হাতে পেলো তা আমার জানা নাই। তবে আমি এসব রোহিঙ্গাদের হাতে বাংলাদেশী এনআইডি বাতিল করতে নির্বাচন কমিশনারের কাছে দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরকম শত-শত রোহিঙ্গাদের কার্ড আমি জব্ধ করেছি এবং এসব অবৈধ ভোটারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় অনেকের ভোটার তালিখা থেকে বাদ দেওয়ার সহযোগিতা করেছি।তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালের দিকে এসব রোহিঙ্গারা ভোটার হয়ে আমার ইউনিয়নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসতি স্থাপন করে আছে। আমিও চাই এসব রোহিঙ্গাদের হাতে থাকা বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড দ্রুত বাতিল করা হউক।