খাদ্য অধিদপ্তরের ১৩-১৯ তম গ্রেডের ২৫ ক্যাটাগরির ১৭৯১ টি শুন্য পদে জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত পরিক্ষা সুষ্ঠু ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে । শুক্রবার সকাল ১০ হতে ১১ টা পর্যন্ত উক্ত লিখিত পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ ক্যাটাগরি পদে তৃতীয় পর্যায় "অফিস সহকারী কাম- কম্পিউটর মুদ্রাক্ষরিক" পদে নিয়োগের বাছাই পরিক্ষা খুলনায় ১৪ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
সুষ্ঠু ভাবে পরিক্ষা পরিচালনার জন্য ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমান কমিটি আহবায়ক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেন সদস্য সচিব। কমিটির অন্য সদস্যবৃন্দ হলেন, খুলনা পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি,খুলনা পুলিশ সুপার, খুলনা সিভিল সার্জন,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
নিয়োগ স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনার জন্য কমিটি দায়িত্ব পালন করবে। ১৪ টি কেন্দ্রে ৪২ জন বিভিন্ন পর্যায় কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রেজারী হতে প্রশ্নপত্র গ্রহন, কেন্দ্রে পৌঁছানো,সেখানে অবস্থান এবং পরিক্ষা শেষে ট্রেজারিতে জমা প্রদানে দায়িত্বে থাকা মনোনীত ব্যক্তি এবং কেন্দ্র হলো,বিএল কলেজ দৌলতপুর কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন মহেশ্বরপাশা সিএসডি ব্যবস্হাপক মোঃ মোশাররফ হোসেন,খাদ্য পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক,
খাদ্য পরিদর্শক (কারিগরি) মোঃ রোকন উদ্দিন।
দৌলতপুর দিবা/নৈশ কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন খাদ্য পরিদর্শক মমতাজ পারভিন, খাদ্য পরিদর্শক অভিষেক বিশ্বাস ও দিঘলিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রফিকুল ইসলাম। নৌবাহিনী স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন খুলনা সিএসডি ব্যবস্হাপক এম এম ইকবাল,খাদ্য পরিদর্শক মাসুদ রেজা ও খাদ্য পরিদর্শক ঝুমুর দাস। সরকারি আজম খান কমার্স কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আশরাফুজ্জামান,
খাদ্য পরিদর্শক জয়ন্তী বাগচি ও খাদ্য পরিদর্শক শেখ হাবিবুর রহমান। করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুলতানা খানম,খাদ্য পরিদর্শক অসিম কুমার মন্ডল ও কারিগরী খাদ্য পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম। হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অনিন্দ্য কুমার দাশ,খাদ্য পরিদর্শক মোঃ ফারুখ হোসেন ও খাদ্য পরিদর্শক মোঃ মুহিবুল্লাহ। সিটি কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্ব ছিলেন
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পুরবী বালা,খাদ্য পরিদর্শক কাজি নাহিদ হাসান ও খাদ্য পরিদর্শক শামীম আহমেদ। খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসিবুর রহমান, খাদ্য পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ও উপখাদ্য পরিদর্শক কাজল রহমান। খুলনা কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন সহকারী ব্যবস্হাপক পুর্নিমা মন্ডল, খাদ্য পরিদর্শক পল্লব ঘোষ ও খাদ্য পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন।
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জাকির হোসেন, খাদ্য পরিদর্শক নিরুপমা দেবনাথ ও খাদ্য পরিদর্শক শিউলি চক্রবর্তী। খুলনা পাবলিক কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেব প্রসাদ দাশ,খাদ্য পরিদর্শক দেবলা শীল ও খাদ্য পরিদর্শক (কারিগরি) সুশান্ত কুমার মজুমদার। খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন সহকারী নিয়ন্ত্রক বাদল কুমার বিশ্বাস,
খাদ্য পরিদর্শক ওয়াহেজুর রহমান ও খাদ্য পরিদর্শক আশফাকুল আমিন। সালাউদ্দিন ইউসুফ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন সহকারী ব্যবস্হাপক তৈয়েবুর রহমান, খাদ্য পরিদর্শক তরুণ বালা ও খাদ্য পরিদর্শক আমিন উদ্দিন মোড়ল। সেন্ট জোসেফ স্কুল কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন উপ নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রজিৎ সরকার, খাদ্য পরিদর্শক ইসমাইল আদম ও
খাদ্য পরিদর্শক টোকন ভৌমিক প্রমুখ। এসময় দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা নিজ নিজ কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করেন। শুক্রবার সকালে বিএল কলেজ, দৌলতপুর দিবা নৈশ কলেজসহ বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন সাংবাদিক মহিদুল ইসলাম শাহীন, সাংবাদিক নঈমুল আলমসহ বিভিন্ন মিডিয়াকর্মীর সদস্যবৃন্দ।
সার্বিক বিষয় খুলনা নিয়োগ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেন বলেন,সকল কেন্দ্রে পরিক্ষার্থীরা সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেন,১৪টি কেন্দ্রে পরিক্ষার্থী সংখ্যা ২৫৬৪২ জন, তার মধ্যে দৌলতপুর সরকারি ব্রজলাল কলেজে পরিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৫০৪৭ জন। অন্য পরিক্ষার্থীরা ১৩ কেন্দ্রের পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করেন।