Crime News tv 24
ঢাকারবিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কেন্দুয়ায় ০৪নং গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের ঘুষ দাবি, জাল স্বাক্ষর, প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ ও জনপ্রতিনিধিদের হয়রানির অভিযোগ।

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি: মহিউদ্দিন তালুকদার:-
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার ০৪ নং গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সাবেক সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং তৎকালীন উপজেলা পিআইও কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি, সহ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং জনপ্রতিনিধিদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।


উক্ত অভিযোগে ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবীর মিন্টুর লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একটি সিসিকরণ প্রকল্পে তাকে না জানিয়ে সভাপতি মনোনীত করে তার স্বাক্ষরিত তিনটি চেক নিজেদের হেফাজতে রাখা হয়। পরবর্তীতে ভুয়া ঠিকাদারি কাগজ ও জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন করা হয়। নিজ খরচে কাজ সম্পন্ন করলেও তিনি কোনো বিল পাননি। টাকা চাইলে প্রশাসক তার কাছে ঘুষ দাবি করেন এবং ঘুষ না দিলে পদচ্যুতির হুমকি দেন।


অভিযোগে আরও বলা হয়, ইউপি সদস্য আনিসুল হকের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করা হয়, যার মধ্যে ৩০ হাজার টাকা নেওয়া হয় সদস্য আবু হানিফের মাধ্যমে। এই সংক্রান্ত অডিও ও ভিডিও প্রমাণও সংরক্ষিত রয়েছে।এছাড়াও, ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মনজুরা আক্তারের নাম ব্যবহার করে তার ব্যাংক হিসাব খোলা হয় এবং তার স্বাক্ষর জাল করে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করা হয়। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তার বিরুদ্ধেও অনাস্থা আনা হয় এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এই ইউনিয়নের আরও নয় জন সদস্য অভিযোগ করেন, প্রশাসক নিজেই ঘুষের তালিকা তৈরি করে প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দাবি করেন। দাবি অনুযায়ী অর্থ না দিলে সদস্যপদ বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগকারীদের দাবি, ৩০+ জনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রশাসক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এর উপস্থিতিতে এসব অভিযোগের বিষয়ে মত প্রকাশ করলে তিনি নিরবতা পালনের মাধ্যমে সম্মতি প্রকাশ করেন। উক্ত ঘটনার ভিডিও প্রমাণ রয়েছে বলেও জানান তারা।ভুক্তভোগীরা এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ইউপি সদস্য গন সহ এলাকা বাসি। এ বিষয়ে প্রশাসক আসাদুজ্জামানকে ফোন করলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ দিকে সুশীল সমাজ সহ সাধারন জনতার দাবি সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের।
কেন্দুয়া উপজেলার ইউ এনও এমদাদুল হক, ডিসি অফিসে সাংবাদিকদের সামনে এক শুনানিতে বলেন, প্রশাসক আসাদুজ্জামান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরেন তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত হলে, তিনি চাকুরি ছেড়ে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।