সরকারি ইজারায় কাটা গাছ রাস্তায় ফেলে রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গার সাত কাপাট থেকে বেলগাছি রোডে মকবুল এমপির মাছের ঘের এলাকায়। কাটা গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা দীর্ঘ সময় ধরে সড়কে পড়ে থাকায় যান চলাচল বিঘ্নিত হয়, ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় পথচারী ও সাধারণ মানুষ।
রবিবার(২১ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক সকাল ৯:২০থেকে ১০ টা পর্যন্ত পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, গাছ কাটার পর সেগুলো সঠিকভাবে অপসারণ না করে ইজারাদারের লোকজন রাস্তাতেই ফেলে রাখে। এতে চলাচলের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও রোগীবাহী যানবাহন মারাত্মকভাবে সমস্যায় পড়ে। শহরে বাস ও ট্রেন ধরতে যাওয়া যাত্রী সাধারণ ও মৃত ব্যক্তির জানাজার নামাজ পড়তে যাওয়া একজন ইমাম সাহেবও গভীর উদ্বেগ জানান।
এ সময় ছবি তুলতে গেলে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক জাফর জুয়েলের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ইজারাদারের কর্মচারীরা।
দ্রুত রাস্তা থেকে গাছ অপসারণ করতে বললে, ইজারাদারের কর্মচারী মিলটন, পথচারী ও সাংবাদিকের সাথে উচ্চবাচ্য করেন । সরকারি গাছ ইজারাই কেনা হয়েছে, সরকারি রাস্তায় যতক্ষণ ইচ্ছে গাছ ফেলে রাখলেও কারো কিছু করার ক্ষমতা নেই বলে উপস্থিত সকলের সামনে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এই মিল্টন আরো বলেন পারলে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করেন।আমার যতক্ষণ খুশি, গাছ আমি রাস্তায় ফেলে রাখবো, আমার কিছুই করতে পারবেন না।
সাংবাদিক এই ঘটনা মুঠো ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে, একপর্যায়ে থাবা মেরে ছিনিয়ে নেন। পথচারীদের প্রতিবাদে মুঠোফোনটি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন।
তাদের এই জোর যার মুল্লুক তার ও অশালীন আচরণের অভিযোগও উঠেছে। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হলে উপস্থিত পথচারীরা প্রতিবাদ জানায়। পথচারীদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে অবশেষে ইজারাদারের লোকজন গাছ সরানোর উদ্যোগ নেন।
উপস্থিত জনসাধারণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারের নিয়ম অনুযায়ী গাছ কেটে দ্রুত অপসারণের কথা থাকলেও ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। এই কাজটি আরো সকাল সকাল বা ভোরে কাটা উচিত ছিলো, সময় মত না করায় উল্টো মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। উপরন্তু সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
এ বিষয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। তারা দ্রুত গাছ অপসারণ না করে, পথচারীর ভোগান্তি সৃষ্টি করায় দোষী ও দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানান।