নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আদালতের নির্দেশে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে কবর থেকে উত্তোলন করা হয় রানা নামের ওই শিশুর লাশ। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানা (৭), পিতা রাজিব মিয়া ও মাতা নাদিরা খাতুনের একমাত্র সন্তান। বাবা-মা ঢাকায় অবস্থান করায় সে নানার বাড়ি কান্দুলিয়া গ্রামে থেকে পড়াশোনা করত। গত ৩০ জুন গ্রামবাসীর ধারণা ছিল, খেলার ছলে সে পুকুরে পড়ে মারা গেছে। তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তবে পরবর্তীতে এলাকায় গুঞ্জন ওঠে—রানা দুর্ঘটনায় নয়, বরং হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। শিশু শাকিব (১১) নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ঘটনার দিন রানাকে দোকান থেকে সিগারেট আনার জন্য বলেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. শহিদ মিয়া (৪৮)। কিন্তু রানা কানে কম শোনায় সিগারেটের বদলে ভুসি এনে দিলে শহিদ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে সজোরে থাপ্পড় মারেন। এতে অচেতন হয়ে পড়ে যায় রানা। এরপর তাকে পাশের ফিশারির পানিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ভিকটিমের বাবা।
ঘটনার পর রানার বাবা আদালতের শরণাপন্ন হলে বিচারকের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। এলাকাজুড়ে এ ঘটনায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা রুজির নেতৃত্বে কবর থেকে রানার লাশ উত্তোলন করেন।
এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলম জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে এবং বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।