পরিবেশ রক্ষায় নিবেদিত সংগঠন ইয়োথ ফর দ্য সুন্দরবন রামপাল এর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রামপাল উপজেলার কাঠামারি গ্রামটি পলিথিন ও প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কাঠামারি গ্রামকে পলিথিনের দুষণমুক্ত করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে এ গ্রামকে পলিথিন দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে, যা ইতোমধ্যেই দেশি–বিদেশি সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার সকালে জার্মান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা হেলভেটাস এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজা ক্রিস্টিনা মায়ার কাঠামারি গ্রামে সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন।
গ্রামে পৌঁছেই তিনি পলিথিন বর্জন ও পরিবেশ সংরক্ষণে গৃহীত কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর তিনি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে মতবিনিময় করেন। বিশেষত গ্রামের ১৫ জন নারী সদস্যের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনায় তিনি তাঁদের অভিজ্ঞতা, পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থা, দৈনন্দিন জীবনে পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ডের প্রভাব এবং প্লাস্টিক দূষণ বিরোধী অভিযানে তাঁদের সক্রিয় ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত হন। নারীরা জানান, রামপালের 'ইয়োথ ফর দ্য সুন্দরবন' এর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা উদ্যোগ তাঁদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে এবং নতুন করে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।
এরপর তিনি গ্রামে কয়েকটি পরিবারে সরেজমিনে গমন করে ঘরে ঘরে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের বাস্তবচিত্র প্রত্যক্ষ করেন। তিনি অবলোকন করেন কীভাবে ইয়োথ ফর দ্য সুন্দরবনের সদস্যরা গ্রামবাসীর সঙ্গে সমন্বয় করে পলিথিনের বিকল্প ব্যবস্থা, পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। এসব কার্যক্রমে তরুণ ও নারীদের সম্পৃক্ততা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বলে অভিহিত করেন।
পরে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ইয়োথ গ্রুপের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে তিনি আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে উঠে আসে সংগঠনের চলমান কার্যক্রম, টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের নানাবিধ চ্যালেঞ্জ। সংগঠনের সদস্যরা জানান, পলিথিন বর্জন ও পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে তাঁরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্কুল, বাজার ও জনসমাগমস্থলে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ডোনার প্রতিনিধি সংগঠনের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আরও কৌশলগত পরিকল্পনা ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করেন।