উখিয়ায় কিছু কিছু এলাকায় চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনের পর দিন বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট থেকে হাঁসমুরগি পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। আর এসব চুরির সঙ্গে জড়িতদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট — এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে।
ভুক্তভোগীরা জানান, চোরেরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সুসংগঠিত। চুরি করে তারা নিরাপদে গা-ঢাকা দিতে পারছে কিছু প্রভাবশালী চক্রের সহায়তায়। এই সিন্ডিকেট শুধু আশ্রয় নয়, চুরি করা মালামাল দ্রুত বিক্রি করে দেওয়ার জন্যও একটি ‘নেটওয়ার্ক’ পরিচালনা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, চোর ধরা পড়লেও অদৃশ্য চাপের কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক সময় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এতে করে চোরেরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, উখিয়ার রাজাপালং ইউপির শীলের ছড়া ও ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় আয়ুব ও সাইদুলের নেতৃত্বে চুরি করে যাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। তাদের হাতেনাতে ধরলে রোধ করা যাচ্ছে না তাদের। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই উল্টো হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
আরও জানা যায়, বহিরাগত আয়ুব শীলের ছড়া এলাকায় বনভূমিতে বসতি গড়ে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নাগরিকদের সাথে হাত মিলিয়ে ক্যাম্প কেন্দ্রীক বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার ঘরে নিয়মিত ক্যাম্পের লোকজন আসা যাওয়া করে।
এই পরিস্থিতিতে এলাকার সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এবং এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
সাধারণ মানুষ দাবি করছে, চুরির ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে চুরি প্রতিরোধে নিয়মিত পুলিশি টহল ও নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।