গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মাফুজা বেগম (৪৫)–এর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্য পরপর দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। তার স্বামীর নাম মফিজ শরীফ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করে প্রভাব খাটাচ্ছেন, সরকারি প্রকল্প ও জমি দখলসহ নানা অপকর্মে জড়িত। মাফুজা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পসংলগ্ন একটি জমির মালিক রনি কাজীকে লাঠিয়াল দিয়ে উচ্ছেদের চেষ্টা করা হয়। আদালতের রায়ে জমির দখল ফিরে পেলেও তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বারবার হয়রানি করা হয়। এমনকি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গোপীনাথপুর তদন্ত কেন্দ্রে হয়রানির চেষ্টাও চলে।
রাজু কাজীর বরাদ্দকৃত ঘর থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করে সেলিম সিকদার। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মিউটেশনকৃত কাগজপত্র নিয়েও চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে সেলিম সিকদার, আরিফুজ্জামান ও তার স্ত্রী সাজেদা বেগমের বিরুদ্ধে। তারা সরকারি সেবা দেওয়ার নামে বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রেও চাঁদা তোলে, যার একটি বড় অংশ ইউপি সদস্য মাফুজা বেগমকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সেলিম সিকদার একাধিক অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। মাহফুজা বেগমের লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য ১. হাবিব শরীফ (৩২),২. রবিউল শরীফ (৩৫),৩. দিদার শরীফ (৪০),৪. জাকির শরীফ (৪০),৫. ফয়সাল শরীফ (২৮),৬. সেলিম সিকদার,৭. আরিফুজ্জামান,(পিতা: ইব্রাহিম শরীফ, ঠিকানা: মেরী গোপীনাথপুর, গোপালগঞ্জ)এদের মধ্যে কেবল আরিফুজ্জামানকেই প্রশাসন গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি সদস্যরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ইউপি সদস্য মাফুজা বেগম সরকারি ক্ষমতা ও রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করছেন। তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত ও কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।