গত ইং ১০জুলাই কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমদাদুল হক তালুকদার কর্তৃক বাদীকে নিয়ে তদন্তের নামে প্রকাশ্যে লাঞ্চিত ও টানাহেঁচড়া এবং গণমাধ্যম কর্মী মহিউদ্দিন তালুকদার ইউএনও বিরুদ্ধে রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দুয়া উপজেলা মানবাধিকার কর্মী শাহ আলী তৌফিক রিপন এর ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ০২ জুলাই ০৪নং গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের একটি মিটিংয়ে মন্জুরা আক্তার ও স্বপন মেম্বার ব্যাতিত প্রশাসক সহ সকল মেম্বারগণ আমার কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন যে, সাংবাদিক মহিউদ্দিন তালুকদার ইউনিয়ন পরিষদে এসে সরাসরি চাঁদা দাবী করেন এবং চাঁদা না দিলে বিভিন্ন হুমকি দেয় এবং আমি এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলি যে,যদি কোন সাংবাদিক কর্মী,রাজনৈতিক ব্যক্তি ও স্থানীয় লোকজন যদি চাঁদা দাবী করে তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে প্রয়োজনে আটক করবেন এবং অপরাধ সংঘটনের সময়। আমি একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে যে কাউকে আটকের আদেশ দিতে পারি।
এমন বক্তব্যে শাহ আলী তৌফিক রিপন তার পেইজবুকে আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় ১৪ জুলাই ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত মেম্বারদের ২জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গড়াডোবা ইউনিয়নে এসে সাংবাদিকদেরকে বেধে রাখা ও মারধর সহ চাঁদা দাবীর বিষয় জিগ্যাসা করলে উত্তরে উপস্থিত,
১। আবু হানিফ (মেম্বার) বলেন,যদি কোন ব্যক্তি আপনাদের কাছে চাঁদা দাবী করে তাহলে আপনারা চাঁদা না দিয়ে আমাকে অবহিত করবেন আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। জাস্ট এইটুকু। আর কোন সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বা কাউকে আঘাত করে উনি কোন কথা বলেন নাই।
২। আনিসুল (মেম্বার) বলেন,ঐদিন আমি উপস্থিত ছিলাম। আপনারা যে প্রজেক্ট আনছেন যদি প্রজেক্টে দলীয় নেতাকর্মী কোন চাঁদা দাবী করে তাহলে আমি ব্যবস্থা নিব ভয় পাবেন না। আর সাংবাদিকের কোন কথা হয় নাই এবং এমন আলোচনাও হয় নাই।
৩। কাঞ্চন মিয়া (মেম্বার) , গত ২জুলাই যে আলোচনা হইছে তার এক পর্যায়ে কথা আসছে যে কিছু নেতাকর্মী আছে আমাদের মধ্যে খুব ডিস্টার্ব করে।তখন উনি বলছেন যদি কেউ চাঁদা দাবী করে তাহলে আমাকে অবহিত করবেন আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।এইটুকু কথা। আর এইখানে সাংবাদিকদের কোন কথা আসে নাই।
৪। লাকি আক্তার(মহিলা সদস্য) বলেন, আমি ঐদিন প্রোগ্রামে ছিলাম। স্যার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে কোন কিছু বলছে না।বলছে আপনাদের কাজে যদি বাহিরের লোকজন ও অন্যান্য লোকজন চাঁদা দাবী করে তাহলে স্যারের কাছে যাওয়ার জন্য। এখন বর্তমানে এমন চাঁদার কিছু নাই।
৫। আনোয়ার হোসেন (সচিব) বলেন,সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে কিছু বলে নাই। সাংবাদিক বা নেতা বলছে যে প্রকল্প বাস্তবায়নে যদি কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় তাহলে আমাকে জানাবেন ব্যবস্থা নেব।কোন ব্যক্তি বা কোন সাংবাদিক বা কোন নেতা বা কোন সংঘটন বা ব্যক্তিগত ব্যাপারে বলে নাই।
এবং সকলে এক সঙ্গে বলেন
আমাদের ইউনিয়নের চাঁদা দাবীর মতো কোন সমস্যা হয় নাই বা হয় না বা হয়নি কখনো।
এর পরপরই আরেকটি ভিডিওতে একই ইউনিয়নের বাশাটী গ্রামের পলাশ মিয়া লিফলেট হাতে মন্জুরা আক্তারের উপর অভিযোগ করে বলেন মন্জুরা আক্তার ২টি প্রকল্পের সভাপতি ছিল এবং কাজ না করেই ২টি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এর প্রেক্ষিতে মন্জুরা আক্তার বলেন,সচিব আমাকে না জানিয়ে যে প্রজেক্টের সভাপতি বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন তা জানতে পেরে প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। এটা ছাড়া আর কোন কোন প্রজেক্টের সভাপতি আমি জানি না। এছাড়াও তিনি প্রশ্ন রাখেন, যদি লিফলেটে উল্লিখিত প্রজেক্টের কাজ না হয়ে থাকে বা অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে পিআইও স্যার, ইউএনও স্যার ও ইন্জিনিয়াররা কিসের ভিত্তিতে স্বাক্ষর করে বিল পাস করেছিল? এবং কিভাবে কাজ সঠিক হয়েছে মর্মে রিপোর্ট দিয়েছিল?এবং সকল প্রজেক্টের টাকা কে কে স্বাক্ষর দিয়ে এনেছিল? তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হউক। যে সকল প্রজেক্টের অনিয়মের কথা আসছে সেগুলোতো এই ইউএনও স্যারের আমলেই হইছে তাহলে কেমনে, কাকে, কিভাবে, কি সুবিধায় এমন কাজের সত্য রিপোর্টে স্বাক্ষর করে বিল পাস করেছিলেন? ইউএনও ও প্রশাসক স্যার আমার বিরুদ্ধে বলতেছেন আমি অফিসের তথ্য পাচার করছি কিন্তু সচিব এই লিফলেটে থাকা তথ্য সহ আরও বিভিন্ন তথ্য তার নিজ কম্পিউটারে টাইপ করে আমার ছবি সহ লিফলেট তৈরি করে কাঞ্চন মেম্বারের মাধ্যমে পলাশের কাছে তথ্য পাচার করছেন এবং বাজরে বাজারে বিলি করে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূ ও মহিলা সদস্যর মানহানি করে যাচ্ছে তার প্রমাণ পাওয়ার পরও এ বিষয়ে একটা কথাও বলেননি স্পষ্টতই সচিবের পক্ষ নিয়ে এগুলো গুজব ছড়াচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও ইউএনও স্যার।
পরবর্তীতে গত ১৩ জুলাই দ্যা মেইল বিডি নিজস্ব প্রতিবেদন ও শাহ আলী তৌফিক রিপন তার পেইজবুকে পোস্ট করার মাধ্যমে জানান, কেন্দুয়ায় ২ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাহাড়,তদন্তে মিলেছে প্রমাণ।এতে উল্লেখ করে বলেন, মঞ্জুরা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজ বাড়ির পুরনো টিউবওয়েল দেখিয়ে নলকূপ প্রকল্পের ৪৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে মন্জুরা আক্তার বলেন এই নলকূপের সভাপতি ছিল মহিলা সদস্য জেসমিন এটা সেই ভালো জানে। বিদ্যাবল্লভ গ্রামের ব্রিজ সংস্কার প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ ৯০ হাজার ৪৮৬ টাকা আত্মসাৎ ও পরিষদের তথ্য সাংবাদিকদের সরবরাহ, সভায় অনুপস্থিতি ও গোপন সখ্যতা।
এবিষয়ে মন্জুরা আক্তার বলেন,নলকূপ প্রকল্পের সভাপতি ছিল মহিলা সদস্য জেসমিন আক্তার এই বিষয়ে উনি বলতে পারবেন। ৪৮ হাজার টাকার ভাগ সচিব আনোয়ার হোসেন আত্মসাৎ করেছে যার একটি অডিও রেকর্ডিং আমার কাছে আছে। এবং ইউনিয়ন উন্নয়নের ১ম কিস্তির বরাদ্দ টাকা সচিব আনোয়ার হোসেন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে কিন্তু আমি প্রশাসক ও ইউএনও স্যারকে বলেছিলাম সচিবের টাকার হিসাব দিলে আমার উত্তলনকৃত ও ব্যয় কৃত টাকার হিসাব আমি দিব। পরিষদের তথ্য সাংবাদিকদের সরবরাহ ও গোপন সখ্যতা আমি নয় বরং সচিব ও কাঞ্চন মেম্বার পাচার করেছে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।