পুরনো ঢাকার জুরাইন পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা তন্নী, দুই বোনের মধ্যে সে বড়ো তার বাবা আওয়ামিলীগ নেতা, মা গৃহিণী তাদের দুই মেয়ে তন্নী একটু বেপরোয়া আর সেই বেপরোয়া কে,কাজে লাগিয়ে তার মা বাবা করছেন চাঁদাবাজি প্রতারণা হয়রানি এলাকার সাধারণ মানুষকে,এমনই তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে আমাদের অনুসন্ধানে,তন্নী বিগত জুন মাসে একই এলাকার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী রিদয় এন্টারপ্রাইজ এর মালিকের ছোট ভাই কে,প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে পালিয়ে যায় তখন তন্নীর মা বাবা মামলার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেলের কাছে থেকে মেয়েকে নিয়ে আসে,আর সেই টাকার লোভে পরে পুনরায় মেয়েকে সেই ছেলের সাথে প্রেমের অভিনয় করে পালানোর প্লান করে মেয়েকে দিয়ে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়, এরপর শুরু হয় আবার সেই টাকার রফাদফা কিন্তু ছেলের পরিবার এইবার তাদের চালাকি ধরতে পেড়ে এবার টাকা পয়সা দিতে রাজি হয়নি, রাজি না হওয়ার কারনে একের পর এক হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে ছেলের পরিবার কে, যখন তাতেও কোন কাজ হয়নি তখন প্রায় এক সপ্তাহ পরে করেন শ্যামপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা, যেখানে আসামি করা হয় ছেলের ৮০ বছরের বৃদ্ধ মা বাবা কে, আসামি করা হয় ছেলের ভাই, মামা,বন্ধু, বান্ধব সহ ৮/ ৯ জন কে,মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন এর আগেও মেয়ে এই ছেলের সাথে প্রেমের টানে পালিয়েছে তখন বিয়ে দিবে বলে মেয়েকে ফেরত নিয়ে আসে, যখন বিয়ে দিতে তালবাহানা করেন তখন ছেলের পরিবার আর সামনে আগায়নি, যখন প্রতারক মেয়ের মা বাবা দেখছেন ছেলে পক্ষ নিরবে আছে তখন পুনরায় মেয়েকে লিলিয়ে দেন ছেলের পিছনে এবং প্লান করে পালাতে সাহায্য করে, এরপর ছেলেদের পরিবারের কাছে দাবি করেন মোটা অঙ্কের টাকা তারা টাকা দিতে রাজি না হওয়ার কারনে এক সপ্তাহ পরে করেন অপহরণ মামলা যা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট, এই বিষয় ছেলের পরিবার এর সাথে কথা বললে তারা এই মিথ্যা বানোয়াট মামলা থেকে রেহাই পেতে চান,এবং প্রতারক চক্রের বিচার দাবি করেন, মামলার বিষয় শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান মেয়ে নিজের ইচ্ছায় ছেলের সাথে প্রেমের টানে পালিয়েছে এর আগেও দুইবার এই ছেলের সাথে পালিয়েছে এখন বাংলাদেশ সরকারের আইনে যেহেতু মেয়ের বয়স ১৮ বছর হয়নি তাই তার মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুমনের সাথে কথা বললে তিনি জানান এটা একটা প্রেম গঠিত বিষয় কিন্তু মেয়ের বয়স না-হওয়ার কারনে মামলা নিতে হয়েছে, তবে মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা অনেকেই নির্দোষ মনে হচ্ছে এমনকি এটা অপহরণ মামলা হয়েছে ঠিক কিন্তু বিষয়টি আসলে অপহরণের মতো না,কারণ মেয়ের মা বাবা প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে যদি অপহরণ মামলা পরিচালনা করার ইচ্ছে থাকতো তাহলে মেয়েকে উদ্ধার করার পরে মেডিকেল করে মামলাটি সঠিক ধারায় পরিচালিত করতো, যেহেতু মেয়ের মা বাবা সেটা করেননি সেহেতু তদন্ত সাপেক্ষে বেবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং বিনা অপরাধে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তাদের পরিবার থেকে যদি আইনি পদক্ষেপ নিতে চায় তাহলে আমরা তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটিত করতে পারবো, তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান মামলা হওয়ার পরের দিন মেয়ের মা বাবা লোকজন নিয়ে থানায় এসে তান্ডব চালানোর চেষ্টা করে যে,তাদের মেয়ে উদ্ধার হচ্ছে না কেন,এমনকি থানা ঘেরাও করার হুমকি দেন মেয়ের বাবা,এই বিষয় সিনিয়র কর্মকর্তা দের জানানো হয়েছে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেবস্থা গ্রহণ করা হবে, এদিকে জুরাইন পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানাযায় এই মেয়ের মা বাবা মেয়েকে দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ছেলেদের ফাঁসিয়ে আদায় করেন লক্ষ লক্ষ টাকা , এই বিষয় মেয়ের মা বাবা সাথে কথা বলতে চাইলে তাঁরা কোন কথা বলতে রাজি হয়নি উল্টো হুমকি দেন গণমাধ্যম কর্মীদের এবং তাদের হাত অনেক লম্বা বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী শমশের বিন মুসার আত্মীয় তারা এবং আওয়ামীলীগের সাবেক অনেক এমপি মন্ত্রী তাদের আত্মীয় তাই এই বিষয় কোন লেখালেখি করলে হাতের কব্জি কেটে নেয়া হবে বলে হুমকি দেন, গণমাধ্যম কর্মীকে।