দেশব্যাপী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলছে ডিগ্রি পাশ ও সার্টিফিকেট কোর্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা।
সেই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহ সিটি কলেজে এই পরীক্ষা চলছিল। সরকারি কে-সি কলেজে ও ভাটই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল কলেজের মোট ৪শতাধিক
ছাত্র,ছাত্রীরা এই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। বেলা দুইটা থেকে শুরু হয় পরীক্ষা।
তবে অভিযোগ উঠেছে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত তিন ঘন্টা ৩০ মিনিটের পরীক্ষা ৩০ মিনিট আগেই তাদের কাছ থেকে খাতা জমা নেওয়া হয়েছে।
জানা যায় ২৩/০৬/২০২৫ সোমবার ঝিনাইদহ সিটি কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের বাংলা পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার্থীরা হলে শান্তিপূর্ণ ভাবে পরীক্ষা দিতেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের কাছ থেকে খাতা জমা নিয়ে নেওয়া হয়।
এসময় পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন করে স্যার আমাদের পরীক্ষার সময়তো তিনঘণ্টা ৩০ মিনিট আপনারা তার আগেই খাতা নিয়ে নিচ্ছেন কেন ? তখন কেন্দ্র ডিউটিরত শিক্ষকরা জানান,প্রিন্সিপাল স্যারের নির্দেশ প্রশ্নে তিনঘণ্টা সময় আছে সেসময়ে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। তখন পরীক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে খাতা জমা দেন। এবিষয়ে পরীক্ষার্থী লিমন হোসেন বলেন, সাড়ে তিনঘন্টার পরীক্ষা কিভাবে আধাঘন্টা আগে শেষ করে বুঝলাম না। এমনিতেই বাংলা পরীক্ষা অনেক লেখা লাগে সময়ের অভাবে ফলাফল ভালো হবে কিনা জানিনা।
পরীক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন বলেন,অন্যান্য কলেজে নির্ধারিত সময় ধরে পরীক্ষা হয়েছে কিন্তু সিটি কলেজে আমরা আধাঘন্টা সময় কম পেয়েছি।
এজন্য আমাদের বাংলা পরীক্ষার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি। অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করলাম কিন্তু ফলাফল কি হবে ভালো জানি না। কলেজ কতৃপক্ষের এরকম উদাসীন মনোভাবে অনেক পরীক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা পুনরায় আবার বাংলা পরীক্ষার দাবি জানান । অনুসন্ধানের জানা জায়, পরীক্ষার প্রশ্নে তিনঘন্টা সময় ছিল ঠিকই কিন্তু সেটা ভুল ছিল। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভুল ঠিক করে ৩০ মিনিট সময় যোগ করে সাড়ে তিন ঘন্টা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ ওয়েবসাইটে বিষয়টি না দেখে পূর্বের নিয়মেই পরীক্ষা নিতে থাকেন। কর্তৃপক্ষের এমন ভুল সিদ্ধান্তে বহু শিক্ষার্থী ফলাফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
এবিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী মাহবুবুর রহমান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,প্রশ্নপত্রে তিন ঘণ্টার পরীক্ষা ছিল। এর পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন আসে সেখানে ৩০ মিনিটনসময় বাড়ানো হয়। কিন্তু প্রজ্ঞাপনটি আমরা অনেক দেরি করে পাই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
এজন্য পরীক্ষা সময় কম হয়েছে তবে পরীক্ষার্থীরা সবাই ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়েছে। আমাদের ভুলের কারণে কিছুটা ছন্দপতন হতে পারে।
তবে প্রজ্ঞাপনটি ডিসি অফিসের মাধ্যমে আসলে ভালো হতো। ওয়েবসাইট থেকে আমরা আগে জানতে পারলে এমনটা হতো না। বিষয়টি আমরা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি দেখা যাক কি হয়।