ঝিনাইদহ শহরের ১ নাম্বার ওয়ার্ড , পবহাটি বেলতলা, উওর পাড়ার মোঃ মহিউদ্দিনের মেয়ে মৌ আক্তার রিয়া (২৩) শুক্রবার ২০শে জুন ২০২৫ ইং তারিখে হারপিক খেয়ে আত্মহ!ত্যা!র চেষ্টা করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হসপিটালে ভর্তি করা হয়, বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন, এখনো আশংকা মুক্ত হয়নি,চিকিৎসক আগামী এক সপ্তাহ তাকে ভর্তি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী নারী মৌ আক্তার রিয়া সাংবাদিকদের জানান আমার মা : সাহেদা বেগম বোন : রুপা খাতুন এবং বোন জামাই,ফয়সাল আমাকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক নির্যাতন করে আসছেন। সেই সাথে আমার স্বামী মেহেদী হাসানকে মান-অপমানসহ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও মোটরসাইকেল কেড়ে রাখেন আমার বাপের বাড়ির লোকজন। তারা সবাই মিলে আমাদের উপরে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে যার কারণে আমি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ি এবং আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিই।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী মৌ আক্তার রিয়ার স্বামী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই আমাকে ও আমার স্ত্রীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে আমার শশুড় বাড়ির লোকজন। প্রথমে কে বা কারা আমাদের দুই জনার মোবাইল ফোনসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাকিং করা হয়। তার পরে আমার শশুড় বাড়ির লোকজন আমার মোটরসাইকেল কেড়ে রেখে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হয়,যে মোটরসাইকেল আমি এখনো ফেরত পাইনি।
এখানেই থেমে যায়নি, এর পরেই আমার স্ত্রী সন্তানসহ সপরিবারে হত্যার চেষ্টা করা হয়,যে বিষয়ে ইতিপূর্বে সদর থানায় লিখিত সাধারণ ডায়রি করা আছে।

এছাড়াও আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক
নির্যাতন করে নিয়মিত, যেসব বিষয় আর সহ্য করতে না পেরে আজকে এত বড় একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আ!ত্ম!হ!ত্যা করার। এখনো চিকিৎসা চলমান রয়েছে। হারপিক খাওয়া রোগীদের প্রায় ছয় মাস আশংকা থাকে দুর্ঘটনা ঘটার। কিছুদিন আগেই আমার স্ত্রীর সিজার করে একটি ছেলে সন্তান হয়েছে সে এখন মায়ের দুধপান করে,যদি তার কিছু হয়ে যায় তবে এই সকল ঘটনার দায় কে নেবে? আপন মেয়ে ও মেয়ের জামাই এর সাথে মানুষ এরকম করতে পারে,এত বড় শত্রুতা কেউ করে এটা আগে দেখিনি। আমি সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুবিচার চাই।

ভুক্তভোগী নারী মৌ আক্তার রিয়া ও মেহেদী হাাসানের অভিযোগের বিষয়ে , রিয়ার বাপের বাড়ির লোকজনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।