উন্নয়নের চোয়া স্পর্শ করেনি জংশর খান বাড়ির রাস্তায়। ১ যুগেও এ রাস্তায় সরকারি কোন মাটি ফেলা হয়নি।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ( মমিনপুর) গ্রামের হাফেজ রফিকুল ইসলাম খানের বাড়ি হতে জংশর খান বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটিতে ১ যুগেও সরকারি ভাবে মাটি ফেলা হয়নি। এরাস্তা দিয়ে গ্রামের কৃষক ও কয়েকটি বাড়ির লোকজন চলাচল করে থাকে। রাস্তায় মাটি না ফেলার কারণে বিভিন্ন স্থানের মাটি বৃষ্টি হাওয়াসহ বর্ষাকালে তা চলে যায়। স্থানে স্থানে গর্ত হওয়ায় বৃষ্টির
পানি জমে থাকে। বিশাল জনগোষ্ঠী এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকলেও রাস্তার উন্নয়ন মুলক কাজ করা হচ্ছে না।
বর্ষা মৌসুমে পানি উঠে হাঁটু পরিমাণ পানির নিচে রাস্তার কিছু কিছু অংশ তলিয়ে যায়। এ পানি ডিঙিয়ে কোমলমতি শিশুরা সকালে মক্তবে আরবি পড়তে যাওয়াসহ বিদ্যালয়ে যেতে হয়।অনেক শিশু সাঁতার না জানার কারণে মক্তব ও বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয় তাদের বাবা- মা।কখন আবার রাস্তার পাশে থাকা পুকুরে বা নিচু জায়গা পানিতে ডুবে যায়। অনেক শিশুকে মক্তবে ও বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে চিন্তিত থাকে তাদের বাবা - মা।
অপরদিকে রাস্তার দু পাশে থাকা কিছু বসতঘর ও বাউন্ডারি দেওয়াল
রাস্তার দিকে চাপিয়ে তোলার কারণে রাস্তা সরু হয়ে গেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, রাস্তার বিভিন্ন স্থানের গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। একটি অটোবাইক ভেতরে প্রবেশ করতে কষ্ট হচ্ছে। পুরো বর্ষা মৌসুমে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে থাকে। কিছু বসতঘর ও বাউন্ডারি দেওয়াল রাস্তার দিকে চাপিয়ে করায় সরু হয়ে গেছে। রাস্তাটি দিয়ে কয়েকটি বাড়ির লোকজন ছাড়া ও
রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষকগণ চলাচল করে থাকে। এমনকি পুরো গ্রামের লোকজন বিভিন্ন প্রয়োজনে এ রাস্তা ব্যবহার করে থাকে। এব্যাপারে স্থানীয় লোকজন জানান, ১ যুগে ও এ রাস্তায় সরকারি ভাবে কোন মাটি ফেলা হয়নি।যখনই রাস্তায় মাটি ফেলা হয়েছে অথবা ইট বা ইটের সুরকি ফেলা হয়েছে রাস্তায় চলাচলকারী কয়েকটি বাড়ির লোকজন ফেলেছে। ১ বছর সরকারি ভাবে ৩০/৪০ হাজার টাকার যত সামান্য মাটি কেটে বাকি টাকা প্রকল্প কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে আত্মসাৎ করে কাজের ঠিকাদার। তাছাড়া আর সরকারি ভাবে কোন মাটি কাটা হয়নি।প্রায় ১৮/২০ বছর পূর্বে এ রাস্তায় মাটি কাটতে গিয়ে জৈনক ইউপি সদস্যকে জরিমানা গুনতে হয়েছে।
বিশাল জনগোষ্ঠীর চলাচলের রাস্তা সংস্কার বা উন্নয়নের জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না। এ রাস্তায় মাটি না কেটে প্রতি বছর একই রাস্তায় মাটি কাটা হয়েছে। কিন্তু আমাদের এলাকার এ রাস্তাটি অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে।
সংলিষ্ট কতৃপক্ষ বিষয়টি সরজমিন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিবেন বলে এলাকাবাসীর দাবি।