নীলফামারী ডিমলা থানায় ধর্ষণের চেষ্টা মামলার অভিযোগ গ্রহণ না করায় রিনা বেগম (২২)নামে এক ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন।
বুধবার (১১ জুন) রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে ডিমলা উপজেলার শ্রমিক অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রিনা বেগম বলেন,আমার প্রতিবেশী মোঃ মাসুদ রানা (২৪), পিতা নুর আলম (টেপু), সাং উত্তর সুন্দর খাতা (নীলবাড়ির ডাঙ্গা, দর্জি পাড়া) ডিমলা নীলফামারী। সে দীর্ঘদিন ধরে আমার সাথে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে।বিষয়টি আমি আমার পরিবারের কাছে জানালে, পারিবারিকভাবে তাকে শাসন করা হয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হইয়া যে কোন ভাবে আমার ইজ্জতের ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত ৩ জুন সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টা ৩০ মিনিটে পারিবারিক কাজে আমি আমার বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যাওয়ার সময় মাসুদ রানা আমাকে একা পাইয়া পিছন থেকে জাপটে ধরে এবং আমার মুখ চিপে ধরে টেনে হিচরে পার্শ্ববর্তী বাশঝাড়ে নিয়ে মাটিতে শুইয়ে দিয়ে দুই গালে চুম্বন সহ স্পর্শকাতর জায়গায় হাতাহাতি করে এবং আমার পরনের ম্যাক্সি উপরের দিকে উঠাইয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। আমি চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী তার জ্ঞাতি গোষ্ঠীর লোকজন আসিয়া ঘটনা বেগতিক দেখিয়া তা ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাকে নিয়ে গিয়ে চুরির অপবাদে মারধর করে তাদের বাড়ির সামনে গাছে বেঁধে রাখে। এ ঘটনায় জানাজানি হলে এলাকাবাসী ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ডিমলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। চিকিৎসার পর আমি ধর্ষণের চেষ্টার লিখিত অভিযোগ করি। ঘটনার সত্যতা থাকার পরেও ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলে এলাহী আমার অভিযোগটি গ্রহণ করেননি। উল্টো তিনি বলেন , অভিযোগ সংশোধন করে শুধু মারপিটের অভিযোগ নিয়ে আসলে আমি তা গ্রহণ করবো বলে আমাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্বামী মোঃ রুহুল আমিন বলেন, মামলা নেওয়ার বিষয়ে পুলিশকে বললে পুলিশ বলে এ বিষয়ে বড় বড় তদবির করেছে। মারডাং এর অভিযোগ হলে নিয়ে আসেন তা আমরা গ্রহণ করব। এদিকে মাসুদ রানার ভয়ে আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এবং ন্যায় বিচারের আশায় সবাইরে দ্বারে দ্বারে ঘুরতেছে।