Crime News tv 24
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৫ জুন ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জীবননগরে সরকারি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনে মানহীন নকল পাইপ প্রশাসন নিরব।

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
জুন ৫, ২০২৫ ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় ৬৮টি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর কাজ পেয়েছিল আড়াই হাজার ইন্টারন্যাশনাল নামের এক ঠিকাদারি কোম্পানি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী স্বত্বাধিকারী আরশাফুল ইসলাম প্রথম থেকেই চুয়াডাঙ্গার হান্নান নামের একজন এবং চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলামকে ম্যানেজ করে অনিয়মন করছিলেন। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট হান্নান গা-ঢাকা দিলে বেশ কয়েক মাস বন্ধ ছিল কাজ। এরপর পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে ফের চুয়াডাঙ্গা জেলা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলামের সহযোগিতায় বাতেন নামের এক মিস্ত্রিকে দিয়ে ডিপ টিউবওয়েল বসাচ্ছেন আরশাফুল। তবে এবার করছেন আরও বেশি অনিয়ম। ন্যাশনার পলিমার কোম্পানির লোগো ব্যবহার নকল করে ঢাকা থেকে মানহীন পাইপ তৈরি করে এনে করা হচ্ছে কাজ। তবে সবকিছুই ঠিক আছে দাবি চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলামের। সরেজমিনে দেখা যায়, মিনাজপুর গ্রামে ন্যাশনাল পলিমারের লোগো সম্বলিত দেড় ও ৪ ইঞ্চি পাইপের স্তূপ। আর বকুন্ডিয়া গ্রামে চলছে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ। লোগোতে লেখা সেগুলো “ক্লাস ডি” মানেন পাইপ। তবে বাস্তবে সেগুলো গভীর নলকূপের জন্য উপযোগী হয় ক্লাস বি গ্রেডের নীচের পাইপ। পাইপগুলো দেখে সন্দেহ হলে ন্যাশনাল পলিমার কোম্পানির প্রধান অফিসে জানানো হয়। পরে তাদের কোম্পানির দুজন প্রতিনিধি সরেজমিনে দেখা জানান, সেগুলো তাদের কোম্পানির পাইপ নয়। নকল পাইপ। এ বিষয়ে ন্যাশনাল পলিমার কোম্পানির প্রতিনিধি মো. শাহিন হোসাইন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা পাইপগুলো দেখতে গিয়েছিলাম। পাইপগুলোতে আমাদের কোম্পানির নয়। আমাদের লোগো নকল করে মানহীন পাইপ বানানো হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন স্যারদের জানিয়েছি। তারা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।’ এর আগে ডিপ টিউবওয়েল বসানোর কাজে কর্মরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে প্রথমে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে একপর্যায়ে বলেন, আমরা বাতেন মিস্ত্রির অধীনে কাজ করছি। আর ঠিকাদারের নাম আরশাফুল। আমরা মিস্ত্রি। আমাদের দায়িত্ব কাজ করার। পাইপ কেমন সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। সব জায়গায়ই এমন পাইপ ব্যবহার হয়। অফিসাররা খারাপ। এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. খালেদুজ্জামান বলেন, আমি এখানে এক মাস মতো আগে যোগদান করেছি। আপনাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সেখানে কাজ হচ্ছে ঠিকাদার আমাদের জানাননি। এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার আরশাফুল ইসলামের কাছে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি তো ঠিকই পাঠিয়েছি। কোম্পানির কাছ থেকে এনে পাঠিয়েছি। পরে তার কাছে অরজিনাল ক্লাস ডি পাইপ এবং তার কাজে ব্যবহৃত ক্লাস ডি পাইপ হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়। তখন তিনি দাবি করেন এমন পাইপ তার ওখানে ব্যবহার করা হচ্ছে না। আর ন্যাশনার পলিমার কোম্পানির প্রতিনিধিরা পাইপগুলো নকল নিশ্চিত করা পর ঠিকাদার আরশাফুল ইসলাম ফোনে কল এবং হোয়াটসঅ্যাপ কল ও ম্যাসেজ দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জীবননগরে সরকারি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনে যে পাইপ ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো ক্লাস ডি গ্রেডের নয়, এমন প্রশ্ন করা হলে চুয়াডাঙ্গা জেলা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আপনি টেস্ট কোথায় করেছেন? আমাদের কাছে ক্লাস ডি গ্রেডের অরজিনাল পাইপ আছে , সেটার সঙ্গে কাজে ব্যবহৃত পাইপগুলো মিল নেই এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা তো টেস্ট ছাড়া কোনো কাজ করতে পারি না। টেস্ট কুয়েট করে, আপনি কুয়েটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তাদের কাছে ল্যাব টেস্টের রির্পোট আছে। টেস্টে সব ঠিক আছে। কাজে নরমাল পাইপ ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই।

সবকিছু তারা দেখে নিয়েছেন। তবে ন্যাশনাল পলিমার কোম্পানির প্রতিনিধিরা পাইপগুলো নকল জানানোর পর থেকে ফোন ধরছেন না নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিনুল। ন্যাশনাল পলিমার কোম্পানির বিষয়টি জানতে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও তিনি আর সাড়া দেননি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চুয়াডাঙ্গায় আমিনুল ইসলামের অফিসে গেলে তিনি বলেন, অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া তিনি কথা বলতে পারবেন না। তার সঙ্গে কথা বলতে হলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসতে হবে।