বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১০টায় নাসিরনগর সরকারি কলেজ মাঠে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনতা অংশগ্রহণ করেন।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর এ ধরনের বৃহৎ কর্মসূচির আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। অনুষ্ঠানটি ছিল আবেগঘন, ভাবগম্ভীর ও মর্যাদাপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী, জেলা বিএনপির সদস্য এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি জনাব এম. এ. হান্নান।
সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কে. এম. খালেদ এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলী আজম চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. এ. হান্নান বলেন:
“শহীদ জিয়াউর রহমান কেবল একজন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন না, তিনি ছিলেন জাতির দুর্দিনের প্রেরণার বাতিঘর। তাঁর আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম আমাদের চলার পথকে আলোকিত করে। নতুন প্রজন্মকে জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহ-কোষাধ্যক্ষ ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান আমিরুল হোসেন চকদার, সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মুসলেউদ্দীন চৌধুরী সোহাগ,সৈয়দ আবু সারোয়ার, সালাউদ্দিন মজনু, আলমগীর হোসেন, মো. আব্বাস আলী, তাজমহল মেম্বার, বশির উদ্দিন চৌধুরী, হাজী বরকত উল্লাহ, হাজী তারেক মিয়া, মো. জামাল আহমেদ, মাসুদুর রহমান চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম, সাখাওত ভূঁইয়া, জিল্লুর রহমান, মো. সিদ্দিকুর রহমান, এমরান মিয়া, শাজাহান মিয়া, মোখলেছুর রহমান, আবদুল বাতেন শরীফ, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে নাসিরনগর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইয়াছিন মাহমুদসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বিপুলসংখ্যক সাধারন মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনা ও দোয়া মাহফিল শেষে শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফিরাত, দেশের শান্তি, উন্নতি ও কল্যাণ কামনায় কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে উপস্থিত সাধারন মানুষ সহ সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।