মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সোনারগাঁও বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ শরিফুন্নেছা (শিল্পী বেগম) সহকারী জজ আদালত, কমলগঞ্জে একটি স্বত্ব মামলা (মামলা নং ১৩১/২০২৩) দায়ের করেন। মামলায় মোট ৬৬ জনকে বিবাদী করা হয়।
২০২৪ সালের ১ আগস্ট বাদী আদালতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে জমির উপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করলে, আদালত ১০ আগস্ট তা মঞ্জুর করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মামলার ৬২ থেকে ৬৬ নম্বর বিবাদী—নজরুল ইসলাম, মকবিল মিয়া, আরমান হোসেন প্রমুখ উক্ত জমিতে মাটি ভরাট ও দালান নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বিষয়টি জানার পর বাদী আদালতে পুনরায় আবেদন করেন যাতে বিবাদীরা জমির শ্রেণি পরিবর্তন, দখল কিংবা আক্রমণাত্মক আচরণ করতে না পারেন।
আদালত ৭ মে ২০২৫ তারিখে কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে সহায়তার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল, ২৬ মে শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রতন হালদার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিবাদী মকবিল মিয়া, ইনুছ মিয়াসহ অন্যদের লিখিত নোটিশ প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জমিতে মাটি ফেলা হয়েছে এবং নির্মাণ কাজের প্রস্তুতি চলছিল। বাদীর অভিযোগ, তার ক্রয়কৃত জমিতে দেয়াল নির্মাণ করে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বিবাদী আরমান হোসেন স্থানীয় প্রভাবশালী আবু হানিফার মাধ্যমে সোহেল মিস্ত্রিকে দিয়ে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন। পুলিশ ইনচার্জ সোহেল মিস্ত্রি ও আবু হানিফাকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে সতর্ক করে জানান, নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকাকালে কোনো কাজ চালালে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।