ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:---
ঝিনাইদহের সরকারি কেসি কলেজের কম্পিউটার অপারেটর শফি লষ্করের বিরুদ্ধে এক নাবালিকা মেয়েকে জিম্মি করে চাকু দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণ ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়, ভুক্তভোগী না-বালিকা মেয়ে ও তার পরিবার ভাড়া থাকতো অভিযুক্ত শফি লষ্করের পাগলাকানাই ইউনিয়নের উত্তর কোরা পাড়ার বাড়িতে।
তখন না-বালিকা মেয়রটিকে শফি লষ্কর নাতি বলে ডাকতো। ভুক্তভোগী মেয়ের মা সাংবাদিকদের জানান, শফি লষ্কর একদিন আমার মেয়েকে ঝিনাইদহ সরকারি কে সি কলেজে ডেকে নিয়ে যেয়ে গলায় ছুরি ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে, এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্য তাকে জোরজবরদস্তি করতে থাকে কিন্তু আমার মেয়ে বিষয়টি আমাদেরকে জানিয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী মেয়ের অসহায় পিতা সাংবাদিকদের জানান, আমি গরিব মানুষ সমিলে শ্রমিক হিসাবে কাজ করি, আমার মেয়ের সাথে শফি যে কাজ করেছে আমি তার কঠিন বিচার চাই। আমি কোনো সালিশের মাধ্যমে সমাধান চাই না,আমি মামলা করতে চাই কিন্তু আমাকে অনেক ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, আমি সালিশ মানি না,আমি সু্ষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে শফি লষ্করের ফাঁসি চাই। একটা শিশু বাচ্চা মেয়ের সাথে যে অন্যায় সে করেছে তার কঠিন বিচার দেখতে চাই।
এছাড়াও স্থানীয়'রা জানান,গতো কাল শফি লষ্কারের প্ররোচনায় ও কু-প্রস্তাবে রাজি না হয়ে পাশেই বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয় ভুক্তভোগী মেয়েটি । কিন্তি শফি লষ্কর মেয়েটির বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে নাবালিকা মেয়েটিকে গাল-মন্দ করে হাত ধরে টাননতে টানতে নিয়ে যেতে চাই, আর বলতে থাকে তোকে কোথাও বিয়ে হতে দেবো না,তুই যদি আমার কথা মতো না চলিস তবে তোর জীবন আমি তচনচ করে দেবো। তখন স্থানীয়রা ছুটে এসে ভুক্তভোগী মেয়েকে রক্ষা করে।
সার্বিক ঘটনার বিষয়ে ১৮ মে২০২৫ ইং তারিখে সন্ধার পরে পাগলাকানাই বটতলা নামক স্থানে উভয়পক্ষের হাজি রানা মজলিশে সালিশের মাধ্যমে ঘটনার ধামাচাপা দেবার অপচেষ্টা করা হয়।
সালিশে ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের উপরে অনৈতিক চাপ প্রয়োগেরো অভিযোগ উঠেছে।
না-বালিকা মেয়ে'কে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ ও লাঞ্চিত করার বিষয়ে সরকারি কেসি কলেজের কম্পিউটার অপারেটর শফি লষ্করের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচার না করতে অনুরোধ করেন এছাড়া এই বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোনো ধরনের বক্তব্য তিনি দিতে রাজি হন'নি।
ভুক্তভোগী য়েটির মা, বাবা ও স্থানীয়রা এই ঘৃনিত কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। তারা বলেন স্থানীয় ভাবে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা চাই বিষয়টি আইনের মাধ্যমে যথাযথ প্রকৃয়ায় বিচার হোক। এই ধরনের বিকৃত লালসার মানুষদের চাকরিচ্যুত করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
বিঃদ্রঃ সামাজিক নিরাপত্তার জন্যে ভুক্তভোগী মেয়ে ও তার বাবা মায়ের পরিচয় তুলে ধরা হলো না,তাদের বিস্তারিত বক্তব্য প্রতিবেদকের কাছে সংগৃহিত আছে।