চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ঘাসপোড়া বিষপান করে মিরাজুল ইসলাম (২০) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (১২ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মিরাজুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ীর মাদ্রাসাপাড়ার মৃত. আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। সে পেশায় মোটরসাইকেল মেরামত করতেন।
পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশিদের সুত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছর আগে দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাথীর সঙ্গে মিরাজের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বছর দুই পর তাদের দাম্পত্য জীবনে কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে পুত্র সন্তান শাফায়েত হোসেন।
প্রতিবেশি ফরিদুল হক জানান, গত ৩ মাস যাবত স্ত্রী সাথীর সঙ্গে মিরাজের কোন কারণে মনোমালিন্য হয়ে আসছিল। সম্প্রতি বাপের বাড়ী থেকে শ্বশুর বাড়ি আসতে চাইছিল বা সাথী। মিরাজ তার স্ত্রীকে নিয়ে আনতে শ্বশুর বাড়ি গেলে বিভিন্নভাবে অপমান-অপদস্থ করতো বলে শুনেছি। এমনকি মিরাজকে ডিভোর্স দেবে বলেও শুনেছিলাম। এই সব কারণে অভিমান করে গত রোববার সকালে বিষপান করে মিরাজ। পরে সদর হাসপাতাল থেকে নেয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে সোমবার রাতে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। গ্রামের বাড়ী সুবলপুরে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, রাজশাহীতে চিকিৎসারত অবস্থায় মিরাজের মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।