বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিঃ এর কুষ্টিয়া লীফ ফ্যাক্টরীর ২২ দফা বাস্তবায়নে বৈষম্য বিরোধী শ্রমিক আন্দোলনের ব্যানারে শ্রমিক আন্দোলন শনিবার ১০ ম দিনে গড়িয়েছে। গত কয়েকদিন ফ্যাক্টরির গেইটে অবস্থান কর্মসূচি ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ১০ ম দিনে শহরের বিভিন্ন স্থানে পরিবার সাথে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। শনিবার সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া পৌরসভা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র এনএস রোড প্রদক্ষিণ করে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর বিক্ষুব্ধ মৌসুমী শ্রমিকরা।
মানববন্ধনে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মৌসুমী শ্রমিক সাব্বির আহমেদ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী ২০১২ সাল থেকে কোম্পানির পাওনা মুনাফা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচ্যুইটি, এক নিয়োগপত্র ও আইন বহির্ভূতভাবে চাকরীচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পূর্ণবহালের দাবিসহ ২২ দফা দাবি বাস্তবায়নে জন্য ১০ ম দিনের কর্মসূচিতে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর আরেক মৌসুমী শ্রমিক সামিমুল আলিম সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলেন ২২ দফা দাবি আদায় না হলে কুষ্টিয়া শহর অচল করে দেয়া হবে। এ সময় তিনি কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর কর্মকর্তাদের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের সাথে দালালি করতে নিষেধ করেন। অন্যথায় তাদেরকে কুষ্টিয়া থেকে বিতাড়িত করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারী করেন।
এ সময় আন্দোলনে শ্রমিকদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের স্বজনেরাও অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলনরত শ্রমিক শামিমুল আলমের সহধর্মিনী উম্মে আক্তার মানববন্ধনে নিজ পরিবারের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। এসময় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা এসি রুমে বসে কিভাবে আমাদের কষ্ট বুঝবেন। বছরে চার মাস চাকরি করে সাত মাস বসে থাকলে বুঝতেন কষ্ট কাকে বলে। তিনি আরো অভিযোগ করেন এরা এতো ক্ষমতাবান সরকারি আইন অমান্য করলেও এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তিনি এসব অসাধু কর্মকর্তার কঠোর বিচারের দাবি জানান।
পরে মানববন্ধন শেষে কুষ্টিয়া পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বৈষম্য বিরোধী শ্রমিক আন্দোলনের ব্যানারে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কুষ্টিয়া লীফ ফ্যাক্টরীর মৌসুমী শ্রমিকগণ।