গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের হাকিমপুরে পালিত হয় আন্তার্জাতি মে দিবস । দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন গুলো তাদের নিজস্ব ব্যানারে র্যালি বের করে। এসময় হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সুজন মিঞা (পুলিশের পোষাক পরিহিত) পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পৌর শ্রমিক দলের র্যালিতে যোগ দেন। শুধু তাই নয় র্যালিতে দলীয় স্লেগান দিতেও দেখা যায়। র্যালির ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিড়িও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষুদ্ধ প্রকাশ করেছে এলাকার সচেতন মহল।
তারা বলছেন, পুলিশ বাহিনীর একটি থানার ওসি সরাসরি র্যালিতে অংশগ্রহন করা চরম অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। একজন থানার ওসি যদি প্রকাশ্যে দলীয় ব্যানারের র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন তাহলে অন্য দলের নেতাকর্মীরা তার কাছে কতটা নিরাপদ সেই প্রশ্ন জনমনে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার জোর দাবী তাদের।
এদিকে ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হিলি চারমাথা মোড়ে শ্রমিক দলের কার্যালয় থেকে জাতীয়তাবাদী পৌর শ্রমিক দলের ব্যানার সম্বলিত একটি র্যালি বের হয়ে হিলি স্থলবন্দর এলাকার সড়গুলি প্রদক্ষিণ করে। র্যালির ব্যানার সম্বলিত র্যালিতে প্রথম সারির মাঝখানে ওসি, তার ডান পাশে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী ও বামে পৌর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক ওমর আলী মল্লিকসহ বিএনপি দলের বিভিন্ন নেতাকর্মী র্যলিতে অংশগ্রহণ করেন এবং র্যালিতে এক জিয়া লোকান্তরে লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে। তারেক জিয়া ভয় নেই আমরা আছি তোমার সাথে এমন দলীয় স্লোগান নেতা কর্মিদের সাথে দিতে দেখা যায় ওসিকে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, র্যালি বা বিক্ষোভ মিছিল হলে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাধারণ পুলিশ বাহিনী উপস্থিত থাকে। কিন্তু মে দিবসে ওসি সুজন মিঞা পৌর শ্রমিক দলের ব্যানার নিজ হাতে ধরে র্যালির সামনের সারিতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন ওসি'র কাছে অন্যকোন দলের নেতাকর্মী নিরাপদ হতে পারেনা।
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক জানান, হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন মিঞার দলীয় র্যালিতে অংশগ্রহণ করার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখেছেন বলে নিশ্চিত করে তিনি জানান, একজন থানার ওসি পুলিশের পোষাক পরে শ্রমিক দলের ব্যালিতে সম্মুখ সারিতে ছিলেন। একজন ওসি প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি দলীয় ব্যানারের কোন র্যালিতে বা শ্লোগানে থাকতে পারেন না। কিন্তু তিনি সেই কাজ করেছেন। শুধু তাই নয় পেশাদারিত্বের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন। তাই প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়কে বিষয়টি আমলে নেওয়ার দাবি জানান তিনি।