পাইকগাছায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষককে গালিগালাজ ও প্রান নাশের হুমকি সহ জোর পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে পদত্যাগের অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।
২৩ এপ্রিল সকালে প্রেসক্লাব পাইকগাছা এ উপস্থিত হয়ে শিক্ষক রফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত গজালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সুনামের সাথে ইংরেজি শিক্ষকতা করে আসছি। এমতাবস্থায় গত ইং- ১৬/০৪/২৫ তারিখ অত্র বিদ্যালয় অফিস কক্ষে বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা মিলে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাকালে একই বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্ম শিক্ষিকা (সহকর্মী) বিউটি খাতুনের এর সাথে পহেলা বৈশাখ বিষয় নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়। তিনি বলেন, যদিও সেটা পরবর্তীতে আপোষ মিমাংসা হয়ে যায়।
এ ঘটনার পরবর্তীতে ১৭/০৪/২৫ তারিখ অত্র স্কুল এলাকার মৃত সামছুর রহমানের ছেলে মোঃ ইমরান হোসেন এর নেতৃত্বে প্রায় ১৫/২০ জন সংবদ্ধ হয়ে পূর্বের ঘটনা অর্থাৎ ইং- ১৬/০৪/২৫ তারিখে শিক্ষিকা বিউটি খাতুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইংরেজি শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারপিট করতে উদ্যত হয়। এছাড়াও জোর পূর্বক শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্বাক্ষর করা সেই কাগজে ইমরান হোসেন গংরা পদত্যাগপত্র লিখে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করে।
তিনি বলেন, এ ঘটনাটি তাহার দৃষ্টি গোসর হলে ইমরান হোসেন সহ আট জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে ১৮/০৪/২০২৫ তারিখ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, মূলত ইমরান হোসেন গত ইং- ২৪/০২/২০১৫ সালে আমার কাছে অস্ত্র প্রদর্শন পূর্বক এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করি। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইমরান হোসেনকে অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করেন, মামলা নং- ২৪/১৫। সেই থেকে ইমরান হোসেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা অব্যহত রেখেছিলো। শুধু তাই নয় সে ও তাহার সন্ত্রাসী বাহিনী মারফত বর্তমানে আমাকে স্কুলে না যাওয়ার জন্য প্রান নাশের হুমকি দেওয়া চলমান রেখেছে।
সবশেষে শিক্ষক রফিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সুস্থ সমাধানের জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।