পার্বতীপুরের হরিরামপুর ইউপি'র পাঁচপুখুরিয়া মৌজায় রেকর্ডিও মালিকের দুটি জলাশয় লিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন,রেকর্ড মূলে মালিক আব্দুল হাই ও আজিজুল আলম চৌধুরী।তারা বাদি হয়ে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।এই নালিশি সম্পত্তির রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন বাদি গনের মৌরস মোহাম্মদ আজগার আলী চৌধুরী,মোহাম্মদ আছব আলী চৌধুরী,মোহাম্মদ এজাহার আলী চৌধুরী ও মোহাম্মদ এছাহাক আলী চৌধুরী।
বাদিগণ মোহাম্মদ আজগর আলী চৌধুরীর পুত্র।রেকর্ডিও মালিকগণ ও বিবাদী গনের মধ্যে ৪-১০-৬৭ সালে বন্টন নামা দলিল হয়।উক্ত দলিল সূত্রে বাদিগণ ওই সম্পত্তি পায়।বাতিগণের বর্তমানে আমমোক্তার দেলোয়ার হোসেন।বাদিরা প্রধারীকারীক্রমে নিরবিচ্ছিন্নভাবে এই সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছে।এমতাবস্থায় গত ১২-৮-২৪ তারিখে বিবাদী পক্ষ তাদের সম্পত্তি বলে দাবি করে এবং নিজেদের কাগজ আছে মর্মেও দাবি করেন।কিন্তু বাদীপক্ষ দেখতে চাইলে তারা কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাইতে পারেনি।তথাপিও তারা বাদির সত্ব অস্বীকার করেন।আর এই কারণেই ঘোষণামূলক ডিক্রির প্রার্থনায় বাদি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বাদি আমমোক্তার নিযুক্ত করে খাজনা প্রদান করে গাছ লাগিয়ে ভোগ দখল করছেন।পুকুরে মাছ চাষ ও জমিতে ধান লাগিয়েছেন।
সরজমিনে গিয়ে আম মোক্তার দেলোয়ার হোসেন দের দখলে পাওয়া গেছে ওই জলাশয় দুটি।
অবশেষে ২২-১-২৫ তারিখে আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে নালিশি জমিতে স্হিতবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
এরপরও ৮১৫ দাগে ১.৫০ একর ও ৭৬৯ দাগে ১.৪৭ একরের ওই জলাশয় দুটি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজ প্রদান করেন।আর এই লিজ প্রদানের কারণেই বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বিষয়টির দ্রুত সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে
মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,বিধি মোতাবেক কাজ হবে।বিধির বাইরে তো আমরা যেতে পারি না।