১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ তিন মাসের জন্য মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটি। এই কমিটি নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সর্ব বৃহত্তর মিছিল সমাবেশ চলমান কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে,স্থানীয় নেতাদের জানতে চাইলে তারা বলেন, কমিটি পুনর্গঠন নৈমিত্তিক ব্যাপার একটি দলকে গতিশীল করতে চাইলে কমিটি পুনর্গঠন করতেই হবে, কমিটি পুনর্গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ছিলেন আমানুল্লাহ আমান (চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা) মেহেরপুরের একটি মিটিংয়ে উনি বলেছিলে, যারা নির্যাতিত, যাদের নামে মামলা আছে. যারা হামলার শিকার হয়েছে, যারা দল করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের দিয়ে কমিটি হবে, যারা গত ১৫ বছর মিছিল মিটিং করেছে তাদের দিয়ে কিন্তু নতুন কমিটি দেখে আমরা হতবাক। যাকে আহবায়ক করা হয়েছেন উনি ব্যবসায়ী ঢাকায় থাকেন আমজনতার কাছে অপরিচিত, সদস্য সচিব তো একজন চিহ্নিত লম্পট নারী কেলেংকারীর আসামী । আমাদের ধারণা কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার সাথে যেসব কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছিলেন বড় অংকের টাকার বিনিময়ে এই কমিটি দেয়া হয়েছে, প্রথমে সাত সদস্যের আংশিক আহবায়ক কমিটি দেয়া হয়, এই সাতজনের আলোচনার ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও কোন প্রকার আলোচনা না করে আহবায়ক ও সদস্য সচিব ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অত্যন্ত গোপনে ৩১ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ পকেট কমিটি করে কেন্দ্রে জমা দেন, ওই সাত সদস্যের একটি অংশ উক্ত পকেট কমিটি অনুমোদন না দেয়ার জন্য কেন্দ্রে চিঠি প্রদান করেন কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ওই অভিযোগ কোন আমলে নেননি,তাই এতে স্থানীয় বিএনপির নেত্রী বর্গ হতাশ ও ক্ষুদ্ধ,আহবায়ক কমিটির বয়স চার মাস হতে চললেও বিএনপি'র গঠনতন্ত্র মোতাবেক কোন উপজেলা পৌরসভা ও ইউনিয়নের আহবায় কমিটি দিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে, আহ্বায়ক সাহেব তার নিয়োগ প্রাপ্ত লোকজন দিয়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু করেছেন, এই ধরনের কার্যক্রম বিএনপির গঠনতন্ত্র একেবারেই পারমিট করে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ এগুলি দেখেও না দেখার ভান করছে।