কে এই সুবিধাবাদী মোহন ভূঁইয়া? মূলত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শাসন আমলে মোহন ভূঁইয়া আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে মাঠ চষে বেরিয়েছেন, আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের সাথে ছিল তার শখ্যতা, নিজেকে হাইলাইট করার জন্য রূপগঞ্জ এর যুবলীগ নেতা তার বাগিনী জামাই খোকনকে দিয়ে, পাপ্পা গাজীর পিএস হিরার সাথে ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় ও প্রচার করে নিজেকে আওয়ামী লীগের বড় নেতা হিসাবে দাবী করে আসছিল। ৫ ই আগষ্টের আগে, সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও ছিল তার বিশাল ভূমিকা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা,সোনারগাঁয়ের দিপক কুমার বনিকের খুব আস্তাভাজন ছিল এই মোহন ভূঁইয়া, ও রাকিব। দিপক কুমার বনিকের প্রতিটি প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে ছিল মোহন ভূঁইয়া এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য -রাকিবের মুখ্য ভূমিকা।সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল ভূঁইয়া ও জামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা নাদিমকে নিয়ে জামপুরে ছিল তার আদিপত্য। কিন্তু ৫ই আগষ্টের পর দেশ পরিবর্তনের সাথে সাথে তার ভূমিকারও পরিবর্তন হয়ে যায়,নিজেকে আওয়ামীলীগ থেকে নব্য বিএনপিতে রুপান্তর করার জন্য, বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার জন্য বিভিন্ন নেতার কাছে ধর্না দিতে থাকেন তিনি,ইদানিং তাকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে দেখা যায় তাকে। শুধু তাই নয়, নিজেকে আড়াল করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে লভিং করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের কমিটিতে প্রবেশ করার চেষ্টাও চালাচ্ছে, বিভিন্ন জেলা যুবদলের প্রোগ্রামে ও মোহন ভূঁইয়াকে দেখা যাচ্ছে,। এই অবস্থায় ১৬ বছরের ত্যাগি নেতা কর্মীদের ভিতর ক্ষোভ ও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগের দোসর হওয়া সত্বেও এই মোহন ভূঁইয়া কিভাবে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে প্রোগ্রাম করে যাচ্ছে??কে তাকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় করার শেল্টার দিয়ে যাচ্ছে??আওয়ামীলীগকে যারাই প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবে তাদেরকেও রুখে দিতে হবে৷ ফ্যাসিস্ট এর ঠিকানা বিএনপিতে হবে না।