পটুয়াখালীর বাউফল থানাধীন চর কালাইয়া গ্রামের খালে বাধ দেওয়া কে কেন্দ্র করে তিনজনকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।এতে মাসুদ শরীফ (৫০) আল আমিন (৩৫)০ও জুলহাস (৪০) নামের তিনজন গুরুতর জখম হয়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বাউফল থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।সেখানে আহত মাসুদ শরীফের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসা জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত মাসুদ শরীফ চর কালাইয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম শরিফের ছেলে।আহত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে আনোয়ার প্যাদা ও ফোরকান হাওলাদার খালে বাদ দিয়ে তরমুজ চাষ করে আসছে।দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে একতরফা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তরমুজ চাষ করছে আনোয়ার প্যাদা ও ফোরকান হাওলাদার ।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে যাবার পরেও এবারও পুনরায় সেই খাল আটকে আনোয়ার প্যাদা ও ফোরকান হাওলাদারের লোকজন তরমুজ চাষ করে আসছিল।এদিকে খালে বাদ দেওয়ার কারণে পানি না পাওয়ায় অন্যান্য চাষিরা ফসল ফলাতে পারছে না এবং বিভিন্ন মাল বাহি নৌকা ও ট্রলার খাল থেকে যাতায়াত করতে পারছে না।
এ নিয়ে স্থানীয় মাসুদ শরীফ এর প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষ আনোয়ার প্যাদা, আরিফ প্যাদা, আক্তার, জাকির চৌধুরী, মোহাম্মদ বেপারী, মহিবুল, বাইজিদ চৌধুরী সহ অজ্ঞাত আট দশ জন লাঠি ও রড নিয়ে মাসুদ শরীফ কে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে।
এ সময় আহত মাসুদের ডাকচিৎকার আল আমিন ও জুলহাস তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।বর্তমানে আহত মাসুদ শরীফ শেবাচিমের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।