পাইকগাছার কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের প্রতিবাদে অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আব্দুস সাত্তার তাহার বাস ভবনে মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জমির মালিকরা মাদ্রাসার জন্য ক্রয়কৃত জমির পাশের জমি বিক্রয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করি যা আমার নামে রেজিস্ট্রিকৃত ও নামজারীকৃত। অতঃপর মাদ্রাসার ভবনের কাজ শুরু হলে মাদ্রাসার জন্য প্রয়োজনীয় ক্রয়কৃত জমির উপরে ভবনের বেজমেন্ট তৈরী হওয়ার পর যখন আমি আমার জমি বের করে দিতে বলি তখন তারা বলে আপনার জমি তো মাদ্রাসায় চলে গেছে, সেখান থেকেই তাদের সাথে বিরোধের সূত্রপাত। তারা আমাকে হুমকি দিতে থাকে, এসব হুমকিতে কর্ণপাত না করায় সোস্যাল মিডিয়া ও পত্রিকায় আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট ও অসত্য খবর ছড়িয়ে আসছেন, এবং আমাকে হেনস্তা করার জন্য আমার বিরুদ্ধে পূর্ব পরিকল্পিত শত্রুতার জেরে মানববন্ধন এর পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ'র অফিস কক্ষে লাগিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন,আমি ব্যাক্তিগতভাবে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি যে কোন দলকে সমর্থন করতে পারি। তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় আওয়ামীলীগের মত সৈরাচার দল নয়। এছাড়াও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ অধ্যয়নরত আমার ছোট ছেলে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে।এবং আমার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে কোনো সদস্য আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। এখন যারা আমাকে আওয়ামীলীগের নেতা বলছে, তারাই ২০২২ সালে আমার অপসারণ চেয়ে সংবাদ প্রচার করেছিলো-আমি নাকি রাজাকারের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেছি। তাহলে তাদের কোন কথা সত্য? পাশাপাশি মাদ্রাসার ইতিহাসে এই প্রথম আমার আমলেই সহকর্মীদের সহযোগিতায় ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় ৪ কোটি টাকার বাজেট আনতে সক্ষম হয়েছি। এমনকি নিরোপক্ষ হিসাবায়ন কমিটির হিসাব মোতাবেক আমি ব্যক্তিগতভাবে মাদ্রাসার নিকট ১০ লক্ষাধিক টাকা পাই।
এছাড়াও কোন চাকরি প্রার্থীর নিয়োগের জন্য ১ টাকার আর্থিক সুবিধাও দাবী অথবা ভোগ করেছি এমনটি প্রমান করতে পারলে সেচ্ছায় আমার পদ থেকে পদত্যাগ করবো।
তিনি লিখিত অভিযোগে আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে যদি এ বিষয়ে কারোর কোন অভিযোগ থাকে তাহলে আদালত রয়েছে সেখানে অভিযোগ করলে আমি আইনের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখিয়ে আইনি লড়াই করবো। সবশেষে অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আব্দুস সাত্তার এ ঘটনায় সোমবার থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে বিবাদী করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন মর্মে নিশ্চিত করেন।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়েছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আব্দুস সাত্তার।