নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
দশমিনা থানাধীন চরমাছুয়াখালী গ্রামে দাবি কৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় এক রাজমিস্ত্রিকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করছে প্রতিপক্ষরা।গতকাল রবিবার রাত ৯ টায় তার নিজ বাড়ির সামনে মাঝের রাস্তা নামক স্থানে বসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।এ সময় আহতকে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে তার বসত ঘরে ভাঙচুর চালায়।
এ ঘটনায় আহতর নাম রবিন (৩৫)।আহত রবিন চরমাছুয়াখালী গ্রামের মৃত চান্দু মোল্লার ছেলে।পরে স্থানীয়রা আহতকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে দশমিনা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত সূত্রে জানগেছে, স্থানীয় হারেস, মাসুদ, দেলোয়ার, বেশ কিছুদিন যাবত রবিন মোল্লার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।রবিন মোল্লা তার পৈওিক জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করে আসছিল।আর ওই ঘর নির্মাণ করতে হলে এবং ওই ঘরে বসবাস করতে হলে প্রতিপক্ষ হারেস, মাসুদ ও দেলোয়ার গংদের ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে দাবী করে।
অথচ রবিন মোল্লা, তাদের চাঁদার টাকা না দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে প্রতিপক্ষরা। আর এ ঘটনাযর জেরে রবিবার রাত ৯ টা মাজের রাস্তায় তার নিজ বাড়ির সামনে বসে প্রতিপক্ষ হারেস, দেলোয়ার, মাসুদ, মিজানুর, রফিক, আরিফ, রেজওয়ান, মুসা, জিহাদ, আবু বক্কর, জাবির আলী, জুলফি,ফাইজুল, জাবির, বাবুল, হাসান, হারুন সহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রবিন, মোল্লার উপরে হামলা চালায়।
এ সময় প্রতিপক্ষ ধারালো দা দিয়ে রবিন মোল্লাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।এবং বাম চোখ তুলে ফেলার জন্য আঙ্গুল দিয়ে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।এ সময় রবিন মোল্লার স্ত্রী রুমা বেগম তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা ও দশমিনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে ঘটনার পর প্রতিপক্ষরা জানায় তাদের দাবি কৃত চাঁদার টাক যদি না দেওয়া হয় পরবর্তীতে রবিন মোল্লার দু চোখ তুলে নেয়া হবে বলে জানায়।
বর্তমানে আহত রবিন মোল্লা শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে রবিন মোল্লার পরিবার। এ বিষয়ে আহতর পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।