গ্রামীণফোন কর্তৃক অংশগ্রহণ তহবিল/শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বিতরণে অনিয়ম, শ্রমিক ছাঁটাই ও শ্রম অধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত প্রেস কনফারেন্স
১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকায় চাকুরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে একটি প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এতে গ্রামীণফোন লিমিটেড কর্তৃক সংঘটিত শ্রমিক ছাঁটাই, শ্রম অধিকার লঙ্ঘন এবং মানবাধিকার হরণের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরা হয়। প্রেস কনফারেন্স এ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক আবু সাদাত মো: শোয়েব।
গ্রামীণফোন লিমিটেড, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠান, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, তার শ্রমিকদের প্রতি দায়িত্বহীন আচরণ এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত এক দশকে প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৭০% হ্রাস পেয়েছে, যা বর্তমানে মাত্র ১২০০ জন। এই ছাঁটাই প্রক্রিয়ায় শ্রমিকদের জোরপূর্বক স্বেচ্ছা অবসরে বাধ্য করা, মানসিক চাপ দেওয়া এবং আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
প্রধান অভিযোগসমূহ:
১. অবৈধ চাকুরিচ্যুতি:
২০১২ সালে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের চেষ্টা করায় প্রায় ১৮০ জন শ্রমিককে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
২০১৫ সাল থেকে তথাকথিত ‘স্বেচ্ছা অবসর স্কিম চালু করে শ্রমিকদের মানসিক চাপ ও হুমকি দিয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
২০২১ সালে করোনা মহামারির সময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ১৮০ জন শ্রমিককে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
লাভজনক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হবার পরেও শ্রম আইন লঙ্ঘন করে একচেটিয়া ও অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জনের হীন উদ্দেশ্যে প্রায় বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রায় তিন হাজার তিনশত শ্রমিককে চাকুরী থেকে ছাঁটাই করা হয়।
২. মুনাফায় শ্রমিকদের অংশগ্রহণ আইন লঙ্ঘন:
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, শ্রমিকদের কোম্পানির মুনাফার ৫% দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। গ্রামীণফোন এই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে এবং উচ্চ আদালতের রায় সত্ত্বেও শ্রমিকদের পাওনা আইন মেনে যথা সময়ে বিতরন না করায় বিলম্ব জনিত জরিমানা পরিশোধ করেনি।
৩. মানবাধিকার লঙ্ঘন:
চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের বিকল্প কর্ম সংস্থান না থাকায় মধ্য বয়সে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং আর্থিক ও ভাবে অসহায় অবস্থায় ফেলা হয়েছে।
শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে না দেওয়া এবং আইনি জটিলতা তৈরি করে দায় এড়ানো হচ্ছে।
চাকরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন