Crime News tv 24
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৯ জানুয়ারি ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মধুপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সিন্ডিকেট সক্রিয় হতে তৎপর।

আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
জানুয়ারি ৯, ২০২৫ ২:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

২০২৪ এর ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুথানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের অনেক চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয় ছাত্র-জনতা। এরই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইলের মধুপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির আড়ালে ২০ বছর ধরে চলা দলিল লেখক সিন্ডিকেটও ভেঙে দেয়া হয়। কিন্তু অভ্যুথানের ছয় মাস না পেরুতেই পুনরায় সেই সিন্ডিকেট চালু করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বিধি মোতাবেক কোন ব্যক্তি জমি রেজিষ্ট্রি করতে চাইলে পৌরসভার ক্ষেত্রে জমির মোট ধার্যকৃত মূল্যের ৯.৫% এবং ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ৭.৫% অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। কিন্তু সমিতির নামে বিগত ২০ বছর যাবৎ সাধারণ সেবাপ্রত্যাশীদের নিকট থেকে প্রতিবছর ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই সিন্ডিকেট। সমিতির নামে আদায়কৃত এসব অর্থের কোন বৈধতা না থাকলেও বছরের পর বছর ধরে চলা এই সিন্ডিকেটের আদায়কৃত অর্থের বেশিরভাগ টাকা পকেট ভারী করেছে তৎকালীন সরকারের সুবিধভোগী দলিল লেখক সমিতির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। আদায়কৃত এসব অর্থের নির্দিষ্ট একটি অংশ বিভিন্ন হারে ভাগ হতো দলিল লেখক সমিতির ১২৬ জন দলিল লেখক এবং ৪০ জন ষ্ট্যাম্প ভেন্ডারদের মাঝে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জমি কেনাবেচা ব্যবসার সাথে জড়িত এক ব্যক্তি জানান , সিন্ডিকেট থাকা অবস্থায় ১০ লক্ষ টাকা বা তার কম মূল্যের জমি রেজিষ্ট্রি করার ক্ষেত্রে প্রতি ১ লক্ষ টাকায় ৭০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা এবং তদুর্ব্ধ মূল্যের জমির ক্ষেত্রে প্রতি ১ লক্ষ টাকায় ১২০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত টাকা সমিতিকে দিতে হত। কিন্তু ৫ আগষ্টের পর থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই অতিরিক্ত টাকা খরচ হয় না। কিন্তু আবারও এই সিন্ডিকেট সক্রিয় হলে তাদের খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি দলিল রেজিষ্ট্রি করতে ভোগান্তি অনেক বেড়ে যাবে বলে জানান তিনি। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক প্রতিবেদককে বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর কিছুদিন এই সমিতির কার্যক্রয় বন্ধ থাকলেও পুনরায় একটি চক্র এই সিন্ডিকেট চালু করতে বিভিন্ন মহলে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।