বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জে বাবা ছেলে মিলে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা ব্যক্তিকে বেপরোয়া মারধর করে মাথা ফাটিয়ে পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার ( ১১ জুন) উপজেলার কাজির হাট থানাধীন সাত হাজার বিঘা মসজিদের উত্তর পার হামলাকারীদের বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন যাবত ভারসাম্যহীন মোসাম্মদ নাজমা বেগম (৫৫) রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। মাঝেমধ্যে গভীর রাতেও বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। তারই প্রেক্ষিতে ১১ জুন (বুধবার) মোঃ বশার মোল্লা (৬০) বাড়ি ঐদিকে গেছিলো। তখন তাকে উত্তপ্ত করলে, তাদের বাড়ির জানালার থাই গ্লাস ভেঙে ফেলার অভিযোগে বশার মোল্লা ও তার ছেলে মোঃ শাওন মোল্লা (৩৫) তাকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে পা ভেঙে দেয়। পরবর্তীতে তাঁরাই মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে ওখানে অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসা অবস্থায় আাছে।
অভিযুক্তকারী শাওন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারিনি। তবে ভুল শিকার করে চিকিৎসার সকল খরচ বহন করে আসছে বলে জানায়।
এ বিষয় ভুক্তভোগীর স্বজনরা মামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান তারা।
কাজীর হাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এটি অমানবিক আচরণ। তবে এখন পর্যন্ত আমার কাছে কেউ মামলা বা অভিযোগ নিয়ে আসেনি। ভুক্তভোগীর ছবি এবং ডকুমেন্টসগুলো পাঠিয়ে দিন। কেউ যদি মামলার জন্য আসে অবশ্যই সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।